• শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
logo

কেজি দরে তরমুজ বিক্রি, বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১০:৪৯ এএম

কয়েক দিন পরেই শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। তাপমাত্রাও বাড়তে শুরু করেছে, সারাদিনের রোজা শেষে ইফতার করবেন মুসল্লিরা। তৃপ্তি মেটাতে ইফতারে বিভিন্ন জাতিয় ফলের মধ্যে তরমুজ অন্যতম এবং পুষ্টিকর।

এই লোভনীয় ফল নিয়ে রমজানের আগ মুহূর্তেই সৃষ্টি হয়েছে নৈরাজ্য। ক্রেতাদের জিম্মি করে সিন্ডিকেটে খুচরা পর্যায়ে তরমুজ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে। 

ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রতি পিস তরমুজ ক্রয় মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণে বিক্রি করছেন তরমুজ ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এ কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে তাঁরা। মাহে রমজানের নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ে অনুরোধ তাদের।  

গতকাল ধনবাড়ী বাসষ্ট্যান্ড ও বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তরমুজ ব্যবসায়ীদের দোকানে বিভিন্ন সাইজের বাহারি সাঁজিয়ে রাখা তরমুজ। আর ক্রেতারা তা দামাদামি করছে। ফাল্গুনের শুরু থেকে বাজারে এসেছে তরমুজ। এই লোভনীয় ফল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে বিক্রেতারা। 

৪ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত হচ্ছে প্রতিটি ফল। এতে ৪ কেজি ওজনের এক তরমুজের দাম পড়ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা এবং বড় সাইজের তরমুজের দাম পড়ছে ৫’শত থেকে ৬’শত টাকা। অনেক ক্রেতার তরমুজের আকাশ চুম্বি দাম শোনে চোখ কপালে ওঠছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশিয় ফল তরমুজ, এই গরমে রমজানের মাস থাকায় চাহিদাও দ্বিগুণ। আবাদকৃত এলাকাতে এবার প্রচুর পরিমাণে তরমুজ হয়েছে। তরমুজগুলো শতকরা অনুযায়ী পটুয়াখালী, ভোলা, কুয়াকাটা, বরিশাল, খুলনা, ভোলা, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমদানি করা হচ্ছে। তবে বড় ও ভালো পাকা তরমুজ এখনো বাজারে আসা শুরু হয়নি।

তরমুজের এত দামের ব্যাপারে জানতে চাইলে মেইন রোড়ের তরমুজ ব্যবসায়ী জহির উদ্দিন বলেন, ‘মোকাল থেকে চড়া দামে এবার তরমুজ ক্রয় করেছি। বাজারের সবাই কেজি দরে বিক্রি করে। তাই কেজি দরে বিক্রি করছি।’

অপর ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন বলেন, ‘পটুয়াখালী থেকে তরমুজ ক্রয় করা হয়েছে। আড়তেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। তাই ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে সবাই কেজি দরে বিক্রি করছে। কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হওয়ার বিষয়ে কোনো ব্যবসায়ী সদোউত্তর দিতে পারেনি।’

তরমুজ ক্রেতা শাহাদত হোসেন বলেন, ‘আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের। কোনো রকমে সংসার চলে। ৬ বছরের ছোট ছেলেটা তরমুজের বায়না ধরেছে। তাই বাধ্য হয়ে ৩০০ টাকায় তরমুজ কিনলাম।

অরেক ক্রেতা কাউসার আহমেত বলেন, ‘আমার ঘরে বৃদ্ধ বাবা। গত বছর তরমুজ খেতে চেয়ে ছিল কিন্তু কিনতে পারেনি। তাই এবাই কেজি দরে ৫০০ টাকায় কিনলাম। রোজার আগেই ব্যবসায়ীরা এভাবে যে সিন্ডিকেট শুরু করেছে প্রশাসনের দৃষ্টি দেয়া জরুরী।’

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারাহ ফাতিহা তাকমিলা বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ক্রেতারা যেন প্রতারিত না হয়।’ 
 

Tags: