পাকিস্তানে পিটিআই নেতা ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে চলছে বিক্ষোভ। রাস্তায় নামা হাজার হাজার সমর্থকের দাবির মুখে অচল ইসলামাবাদ থেকে রাওয়ালপিন্ডি।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী, সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানী অভিমুখে এগোতে থাকা নেতাকর্মীরা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এরই মধ্যে ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে পিটিআইয়ের কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভ ঠেকাতে পিটিআইয়ের পাঁচ এমপিসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে অনুযায়ী, পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সোমবার রাজধানী ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে পৌঁছে যায় পিটিআই নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় তাদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়।
পুরো দেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডির যোগাযোগ। এর আগে, পিটিআই এর এই কর্মসূচিকে বেআইনি ঘোষণা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
নিরাপত্তা কর্মী নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নির্দেশ দিয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের নামে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। তবে, পিটিআইর নেতাকর্মীদের ইসলামাবাদ অভিমুখী পদযাত্রায় সংঘর্ষের ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীকেই দায়ী করছে ইমরান খানের দল।
এদিকে চলমান পরিস্থিতিতে সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা চলছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পিটিআই চেয়ারম্যান গহর আলী খান বলেন, এ নিয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি শিগগিরই জানানো হবে। আলোচনা চলমান।