যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম হ্রাসের যে ধারা শুরু হয়েছিল, তা এখনও অব্যাহত রয়েছে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক— উভয় বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম।
স্বর্ণের বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স (এক আউন্স = ২৮ দশমিক ৩৫ গ্রাম) স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৬১৯ ডলার বা ৩ লাখ ১৩ হাজার ৬৬০ টাকা। আর যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৬১৮ ডলার ৫০ সেন্টে, অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ টাকায়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাজার পর্যবেক্ষণ সংস্থা টিডি সিকিউরিটিজের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ড্যানিয়েল গ্যালি রয়টার্সকে বলেন, স্বর্ণের দাম ওঠানামার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীরণ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকের ভূমিক পালন করে।
ড্যানিয়েল বলেন,“ট্রেজারি বিভাগের (যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়) নতুন মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্কট বেসেন্ট। ধারণা করা হচ্ছে যে এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল হবে। তাছাড়া সম্প্রতি ইসরায়েল ও লেবানন যুদ্ধবিরতির জন্য সম্মত হয়েছে। এর অর্থ ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যকার যুদ্ধ থামছে।”
“গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে স্বর্ণের দামের যে ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছিল, তার একটি বড় কারণ মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা। খনিজ তেল সমৃদ্ধ এই অঞ্চলটিতে অস্থিরতা শুরু হলে পুরো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়ে; বিনিয়োগকারীরা অনিশ্চয়তায় ভোগেন এবং স্বর্ণের দাম বাড়তে থাকে।”
অবশ্য মূল্যহ্রাসের এই ধারা অব্যাহত থাকবে— এমন মনে করেন না অনেক বিশ্লেষক। কারণ তাদের ধারণা, স্কট বেসেন্ট আন্তর্জাতিক বাজারে বাণিজ্য যুদ্ধ উস্কে দেবেন।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি এবং অন্যান্য সব আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।