প্রকাশ্যে নিসংশভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে কৃষক আমান আলী (৬০) হত্যা মামলার আসামি মো. ফরিদ মিয়া (৪০) গ্রেপ্তার করছে র্যাব। তিনি পার্শ্ববর্তী সরিষাবাড়ী উপজেলার বলার দিয়ার গ্রামের আমু মিয়ার ছেলে। আমান আলী হত্যা মামলা ৫ নম্বর আসামি ফরিদ মিয়া।
আজ মঙ্গলবার (০২ জুলাই) মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করছেন ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান ও নিহতের স্বজনরা। সোমবার (০১ জুলাই) বিকালে টাঙ্গাইল র্যাব ১২ একটি বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করে আসামি ফরিদ মিয়ার নিজ বাড়ি হতে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এছাড়াও, ওই হহত্যাকাণ্ডের মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মো. সবুজ খান, ফারুক খান, রঞ্জু মিয়া ও সাইদুর রহমান। এঁরা সবাই ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এই নিসংশ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল ফরিদ মিয়া।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, নিহত আমান আলীর ভাতিজা মনিরুজ্জামানের ছেলের সাথে সাইদুর রহমানের মেয়ে প্রেমের সম্পর্ক। এনিয়ে দুই পরিবারে বিরোধ হলে গত ৫ মার্চ বিকালে লাঠিসোটা ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় আসামিরা। তাদের হামলায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাত দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১১ মার্চ রাতে মারা যান আমান আলী।
এদিকে, হত্যা মামলার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও অভিযোপত্র জমা না দিয়ে গড়িমসি ও পক্ষপতিত্ব শুরু করে ধনবাড়ী থানা-পুলিশ। কোনো আসামিকেও তারা গ্রেপ্তার করেনি। এনিয়ে স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দেয় ক্ষোভ ও হতাশা। আসামিপক্ষ প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকায় ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়েও সংশয় প্রকাশ করে আমান আলীর স্বজনরা।
ওসি আরও জানান, আসামি মো. ফরিদ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হবে।