মানুষের সুস্থতা-অসুস্থতা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। আল্লাহ মানুষকে সুস্থতা ও অসুস্থতা দিয়ে পরীক্ষা করেন। তাই অসুস্থ হলে মানুষের কর্তব্য হলো আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা। অসুস্থতা থেকে রক্ষা পেতে এবং সুস্থতা ও শক্তি লাভ করতে রাসুল (সা.) উম্মতকে দোয়া শিখিয়েছেন এবং নিজেও আমল করেছেন।
অসুস্থ হলে পড়ার জন্য আল্লাহর রাসুল (সা.) একটি দোয়া শিখিয়েছেন। কেউ দোয়াটি পড়লে আল্লাহ তাআলা অসুস্থ ব্যক্তিকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন।
আনাস বিন মালিক (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়া পড়ে অসুস্থ ব্যক্তিদের ঝাড়ফুঁক করতেন। দোয়াটি হলো-
اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبْ الْبَاسَ اشْفِهِ وَأَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা রাব্বান নাসি উজহিবাল বা’সি, ইশফিহি ওয়া আনতাশ-শাফি, লা শিফায়া ইল্লা শিফায়ুকা শিফায়ান লা ইউগাদিরু সাকমা।
অর্থ : হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক, কষ্ট দূরকারী। আমাকে আরোগ্য দিন, আপনি আরোগ্যকারী—আপনি ছাড়া কোনো আরোগ্যকারী নেই। এমন আরোগ্য দিন যেন কোনো রোগ না থাকে। (বুখারি, হাদিস : ৫৭৪২)
রাসুল (সা.) একবার এক অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গেলেন। তিনি দেখলেন, সে পুষ্টিহীনতায় হাড্ডিসার হয়ে গেছে। নবীজি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি আল্লাহর কাছে কি কোনো দোয়া করেছিলে? সে বলল, হ্যাঁ। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলাম, হে আল্লাহ! আমার পরকালের শাস্তি আপনি আমাকে দুনিয়াতেই দিয়ে দিন। নবীজি আশ্চর্য হয়ে বললেন, ‘সুবহানাল্লাহ! আল্লাহর শাস্তি সহ্য করার ক্ষমতা কি কারও আছে? তুমি এখন থেকে এ দোয়া করতে থাক—‘রাব্বানা আতিনা ফিদ দুনইয়া হাসানাহ, ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাহ, ওয়া কিনা আজাবান নার’ অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান করুন এবং আমাদের জাহান্নামের শাস্তি থেকে রেহাই দিন।’ দেখা গেল, এর বরকতে আল্লাহ তাকে সুস্থতা দান করেছেন। (মুসলিম ২৬৬৮)।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এই দোয়া করতেন—‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুযামি ওয়া মিন সাইয়িল আকসাম’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি শ্বেতরোগ, কুষ্ঠরোগ, উন্মাদ রোগ ও যাবতীয় খারাপ রোগব্যাধি থেকে।’ (আবু দাউদ: ১৫৫৪)