• বুধবার ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫
logo

শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার উপায়

টিএন২৪ ডেস্ক ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫ ০৩:৫৮ পিএম

শয়তানের কুমন্ত্রণায় মানুষের ঈমান দুর্বল হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, অনেক সময় মুমিনের জীবনকে বিপন্ন করে তুলে শয়তানের কুমন্ত্রণা।

সৃষ্টির শুরু থেকেই শয়তান মানুষকে নানাভাবে কুমন্ত্রণা দিয়ে আসছে। দুনিয়াতে একজন মুমিন অবশিষ্ট থাকা অবস্থায় শয়তানের এ কাজ অবশিষ্ট থাকবে। শয়তানের কুমন্ত্রণায় মানুষের ঈমান দুর্বল হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, অনেক সময় মুমিনের জীবনকে বিপন্ন করে তুলে শয়তানের কুমন্ত্রণা।

সাহাবিরাও এমন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, সাহাবিদের একটি দল রসুলুল্লাহ (স.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলো, আমরা আমাদের অন্তরে কখনো কখনো এমন বিষয় অনুভব করি, যা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করা আমাদের কাছে খুব কঠিন মনে হয়। রসুলুল্লাহ (স.) বললেন, সত্যিই কি তোমরা এ রকম পেয়ে থাক? তারা বললেন, হ্যাঁ; আমরা এ রকম অনুভব করি। রসুলুল্লাহ (স.) বললেন, এটি তোমাদের ঈমানের স্পষ্ট প্রমাণ।

শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) তার কিতাবুল ঈমানে বলেছেন, মুমিন ব্যক্তি শয়তানের প্ররোচনায় কখনো কুফরির মতো কুমন্ত্রণায় পতিত হয়। এতে তাদের অন্তর সংকুচিত হয়ে যায়। মুমিন ব্যক্তির এমন কুমন্ত্রণাকে অপছন্দ করা সত্ত্বেও তার মনে এর উদয় হওয়া এবং তা প্রতিহত করতে প্রাণপণ চেষ্টা করা তার ঈমানদার হওয়ার প্রমাণ বহন করে।  

বস্তুত কোনো মানুষ যখন বুঝবে শয়তানের কুমন্ত্রণা প্রসঙ্গে, তখন তার উচিত কুমন্ত্রণার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া। সেই সঙ্গে মনে রাখা, এমন কুমন্ত্রণায় কোনো গোনাহ হয় না। এ প্রসঙ্গে নবী করিম (স.) বলেছেন, ‘(শয়তানের কুমন্ত্রণা) আমলে পরিণত করা অথবা মুখে উচ্চারণ না করা পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের মনের কুমন্ত্রণা বা ওয়াসওয়াসাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।’

নবী করিম (স.) শয়তানের ওয়াস্ওয়াসা থেকে বাঁচার পন্থাও আমাদের জন্য বর্ণনা করেছেন। প্রথমত, এসব ধারণা থেকে বিরত থাকা এবং শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।  

যখন কোনো মুমিন শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় ইবাদতে মশগুল হয় তখন তার অন্তর থেকে কুমন্ত্রণা চলে যায়। সুতরাং মানুষের অন্তরে শয়তানের কুমন্ত্রণা জাতীয় যা কিছু উদয় হলে, তা থেকে নির্লিপ্ত থাকতে হবে। সর্বাবস্থায় মনে রাখতে হবে, এসবের কোনো অস্তিত্ব নেই; বরং তা ভিত্তিহীন মনের কল্পনা মাত্র।  

 বাড়িতে নফল নামাজ পড়া মোস্তাহাব। তবে মসজিদেও পড়া জায়েজ। বাড়িতে প্রবেশ করার সময় দোয়া পড়লে এবং সন্ধ্যায় আয়াতুল কুরসি পড়লে বাড়ি মন্দ প্রভাব থেকে সুরক্ষিত থাকে। ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পড়ে মূল্যবান মালামাল সিন্দুক বা সংরক্ষিত করে তার মুখ বন্ধ করা ভালো।

Tags:   ইসলাম