বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এবং ২৩ নাবিককে জিম্মি করে রাখা সোমালি জলদস্যুরা প্রথমবারের মত মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আট দিন পর জলদস্যুরা বুধবার ‘তৃতীয় একটি পক্ষের মাধ্যমে’ জাহাজের মূল মালিক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে কোম্পানির মিডিয়া ফোকাল মিজানুল ইসলাম জানান।
তিনি বলেন, “জলদস্যুরা প্রথমবারের মত তৃতীয় একটি পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছে। তবে তারা কোনো মুক্তিপণ চায়নি। এখন মূলত যোগাযোগ স্থাপন হল। পরবর্তী আলোচনায় মুক্তিপণের বিষয়টি হয়ত আসবে।”
এই কয়েক দিনে এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের সঙ্গেই কেবল যোগাযোগ হচ্ছিল বলে মালিকপক্ষ জানাচ্ছিল। জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় একটা অনিশ্চিয়তাও ভর করছিল। এরই মধ্যে জাহাজটি নিয়ে কয়েকবার অবস্থান পাল্টেছে জলদস্যুরা।
ভারতীয় নৌবাহিনী সোমালি জলদুস্যদের অপর একটি দলের হাতে আটক মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ রুয়েন উদ্ধার করলে এমভি আবদুল্লাহয় থাকা দস্যুরা সতর্কতার অংশ হিসেবে সোমালি উপকূলে অবস্থান পাল্টেছে। আটক জাহাজে জলদস্যুদের সংখ্যাও বেড়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে।
এদিকে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজটি এবং জিম্মি নাবিকদের জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত করতে সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশের বরাতে রয়টার্সে খবর এসেছে।