• শনিবার ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫
logo

জেনিন শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫ ০১:২২ পিএম

অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থীশিবিরে ইসরাইলের বিমান হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন ফিলিস্তিনি কিশোর এবং তিন ভাই রয়েছে।

অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থীশিবিরে ইসরাইলের বিমান হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন ফিলিস্তিনি কিশোর এবং তিন ভাই রয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শরণার্থীশিবিরের একটি ট্র্যাফিক সার্কেলের কাছে একটি ইসরাইলি ড্রোন একদল মানুষকে লক্ষ্য করে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।  এতে ১৫ বছর বয়সি এক বালকসহ ছয়জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলায় নিহত আরও পাঁচজনের বয়স ২৩ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে তিন ভাইও ছিলেন। 

এর আগে, চলতি মাসের শুরুতে অধিকৃত পশ্চিম তীরের তাম্মুন শহরে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় একই পরিবারের দুই ফিলিস্তিনি শিশু এবং ২৩ বছর বয়সি এক যুবক নিহত হন।

ঘটনাস্থল থেকে আল জাজিরার হামদাহ সালহুত বলেছেন, জেনিন ক্যাম্পে ড্রোন হামলাটি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে জোরদার হওয়া ইসরাইলি হামলার অংশ।  ২০২৩ সাল থেকে অধিকৃত  পশ্চিম তীরে প্রায় ৮০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।  এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। 

ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পশ্চিমতীর জুড়ে ইসরাইলি এই নীতি অব্যাহত রাখবে। আর পশ্চিমতীরে ইসরাইলি সহিংসতা এখন ‘নীরব যুদ্ধ’ নামে পরিচিত বলেও জানান সালহুত। 

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) নিরাপত্তা বাহিনী জেনিন ক্যাম্পে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে সামরিক অভিযান শুরু করার পরও এই  মারাত্মক ড্রোন হামলা চালানো হলো। 

পিএ-র নিরাপত্তা বাহিনীর মুখপাত্র আনোয়ার রজব বলেছেন, জেনিনে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য কর্তৃপক্ষের ‘প্রচেষ্টা ব্যাহত’ করার উদ্দেশ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে।